আমরা সবাই চাই জীবনের সফল হতে। কিন্তু সফলতা কখনো এমনি এমনি আসে না, এর জন্য জীবনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেকে আছেন যারা কোন পরিশ্রম না করেই জীবনে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। যারা এমনটা করেন তারা কখনোই জীবনে সফল হতে পারেনা। আর জীবনে সফল হতে চাইলে ছাত্রজীবনে আরো বেশি পরিশ্রমই ও অধ্যবসায়ী হতে হয়।
ছাএজীবনে সফল হওয়ার কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলো
পড়াশোনাঃ ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার জন্য পড়াশোনার বিকল্প নেই। পড়াশোনা ব্যতীত কেউই জীবনে উন্নতি করতে পারে না। জীবনে ভালো কিছু করতে হলে পড়াশোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনা যে শুধু আমাদের ভালো চাকরী এনে দেবে এমনটা নয়, পড়াশোনা আমাদের জীবনকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
সত্যবাদিতাঃ জীবনে মানুষ হতে হলে সত্য কথা বলার অভ্যাস গঠন করতে হবে। সত্য ছাড়া মানুষ কখনোই সামনের দিকে এগিয়ে চলতে পারে না। সত্যই একমাত্র পন্থা যা শুধু একজন ছাত্রকে নয়, প্রত্যেকটা মানুষকেই উন্নতির পথে ধাবিত করে। তাই আমাদের ছাত্র জীবন থেকেই সত্য কথা বলার অভ্যাস গঠন করা উচিত।
মিথ্যা ত্যাগ করাঃ মিথ্যা সকল পাপের মূল। এটি মানুষকে ধ্বংসের পথে ধাবিত করে। আমরা যদি ছাত্র জীবন থেকে মিথ্যা বলার অভ্যাস করতে থাকি তাহলে আমাদের জীবন ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে। তাই আমাদের ছাত্র জীবন থেকেই মিথ্যা পরিহার করা উচিত। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর হবে।
অধ্যবসায়ঃ জীবনে উন্নতি লাভের জন্য অধ্যাবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু আমাদের জীবনকে উন্নতি করবে এমনটা না আমাদের জীবনকে উন্নতির চরম শীর্ষে পৌঁছে দেবে।
চরিত্রঃ চরিত্র মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। জীবনে ভালো কিছু করতে হলে উত্তম চরিত্রা গঠন কর একান্ত প্রয়োজন। তাই আমাদের জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। চরিত্র মানব জীবনের সফলতার চাবিকাঠি।
শৃঙ্খলাঃ ছাত্র জীবন থেকেই শৃঙ্খলা মেনে চলা একান্ত জরুরী। শৃঙ্খলার সাথে জীবন যাপন করলে জীবনে সফলতা নিশ্চিত। শৃঙ্খলা যে শুধু জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করে এমনটা নয় বরং ভবিষ্যৎ জীবনেও সফলতা বয়ে আনে।
নিয়মানুবর্তিতাঃ ছাত্র জীবন থেকেই নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস গঠন করা উচিত। নিয়ম মাফিক জীবন পরিচালনা করলে জীবন অনেক সুন্দর হয়, সেই সাথে ভবিষ্যত জীবনেও শান্তি বয়ে আনে। মানুষকে সফলতার পথ দেখায়।
সময়ানুবর্তিতাঃ ছাত্র জীবনে সময়ানুবর্তিতা সবচেয়ে ভালো একটি গুন। শুধু একজন ছাএকেই নয় বরং প্রত্যেক মানুষকেই সময় মেনে কাজ করা উচিত। সময়ের কাজ সময়ে করলে ভবিষ্যতে সফলতার পথ সুগম হয়। সেই আসে জীবনে উন্নতি লাভ করা যায়। কথায় আছে, আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখা উচিত নয়। মানুষ এটাও বলে যে, কালকের কাজ আজকে করুন আর আজকের কাজ এখনি করুন। তাই আমাদের জীবনে ভালো কিছু করার আশা থাকলে ছাত্র জীবন থেকেই সময়ানুবর্তিতা গুনটি ধারণ করা উচিত।
জীবনে সফলতা অর্জন করার আরো কিছু উপায়
কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। অলসতা করে জীবনে ভালো কিছু করা কখনোই সম্ভব নয়। জীবনে সফল হওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি। ইতিহাস সাক্ষী আছে যে, যারা জীবনে অলসতা করে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে তারাই ব্যর্থতার স্বীকার হয়েছে। আর যারা সারাদিন রাত পরিশ্রম করেছে তারাই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
এছাড়াও আরেকটা বিষয় হলো জ্ঞান অর্জন করা। আমরা যদি কিছু করার জন্য বা চাকরি পাবো এই আশায় পড়াশোনা করি তাহলে আমরা জীবনে কখনোই ভালো কিছু করতে পারবো না। জীবনে ভালো কিছু করতে হলে শুধু শেখার জন্য নয়, জানার জন্য পড়তে হবে। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলেই জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব। জীনের সফল হওয়া সম্ভব।
পরিশেষে, জীবনে সফল হওয়ার জন্য, ভালো কিছু করার জন্য ছাত্র জীবন থেকেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না। জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। চলার পথে ব্যর্থতা আসবেই। এই ব্যর্থতার গ্লানি মুছে যে নিজের জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, সেই জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে। তাই চেষ্টা ছাড়লে চলবে না। পরিশ্রমী হও সফলতা নিশ্চিত।