Home সমকালীন তথ্য নদীর ভূমিকা, নদীর সাথে বাঙালি সম্পর্ক - বাংলাদেশের কয়েকটি নদী সম্পর্কে বলা হলো

Thumb

নদীর ভূমিকা, নদীর সাথে বাঙালি সম্পর্ক - বাংলাদেশের কয়েকটি নদী সম্পর্কে বলা হলো

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। মূলত কৃষি প্রধান দেশ হলেও এই  দেশে অনেক নদনদী রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবিকার প্রধান উৎসই হলো এই নদনদী। নদীকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষ জীবন যাপন করে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় ছোট বড় সব মিলিয়ে ৭০০ টি  নদনদী রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়েছে। আবার বিভিন্ন শাখা নদী, এবং উপনদীতেও পরিণত হয়েছে। আবার অনেকগুলো উপনদী মিলে একটি নদীতে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, হলো বড় নদী। তবে এর অনেক শাখা প্রশাখা রয়েছে।নদী নানা ভাবে মানুষের উপকারে আসে।  নিচে মানব জীবনে নদীর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

নদীর ভূমিকা

বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নদী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা নদী ছাড়া বাংলাদেশ কখনো উন্নতির পথে হাঁটতে পারত না। যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে নদীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নদীপথে নানা ধরনের পণ্য আমদানি, রপ্তানি করা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছেন। বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করার ফলে দেশে উন্নতি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের অভাব পূরণ হচ্ছে। অপরদিকে নানা ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় অনেক পণ্য নদীপথে নেয়া হচ্ছে। এতে সময় কম লাগছে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক সাশ্রয় হচ্ছে। তাছাড়া অনেক দেশে বেকারত্ব কমছে। কেননা নদীকে কেন্দ্র করে অনেক বেকার যুবক নিজের কর্মস্থল তৈরি করছে এতে দেশ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে, তার সাথে পরিবারও সচ্ছলতার মুখ দেখতে পাচ্ছেন। আবার নদী থাকার ফলে দেশে আমিষের  অভাব পূরণ হচ্ছে।পাশাপাশি  অন্য দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করতে হচ্ছে না বরং এ দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রজাতির মাছ অন্য দেশের প্রচার করতে পারছি এতে দেশ উন্নতি হচ্ছে। তাই বলা যায় নদী বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নদীর সাথে বাঙালি সম্পর্ক

প্রবাদে কথিত রয়েছে মাছে ভাতে বাঙালি। এখানে নদীর গুরুত্ব তা ফুটে উঠেছে।এবং বাংলাদেশের মানুষের সাথে নদীর গভীর সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।  বাংলার প্রতিটি মানুষ নদীকে কেন্দ্র করে তাদের জীবন নির্বাহ করছে। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে  আসছে। তাছাড়া অনেক ধরনের মাঝি বা জেলে রয়েছে যারা নদীতে এই বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরে তা বিক্রি করে যে অর্থ পায়, সেই অর্থ দিয়ে সংসার পরিচালনা করছেন। এমনকি তাদের সন্তানদেরকেও ভালোভাবে মানুষ করতে পারছেন। মূলত নদীর সাথে বাঙ্গালীর সম্পর্ক  অনেক গভীর।

নিচে বাংলাদেশের কয়েকটি নদী সম্পর্কে বলা হলো

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে বিভিন্ন ধরনের নদী রয়েছে। অনেক বড় বড় নদী ও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উপনদী, শাখা নদী, মিলিত হয়ে মূল নদী সৃষ্টি করে। কোন নদী যদি মূল নদীতে এসে  মিলিত হয়, তখন তাকে উপনদী বলা হয়। আবার মূল নদী থেকে যদি কোন নদী নিচের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন তাকে শাখা নদী বলা হয়।

বাংলাদেশে অনেক ধরনের নদী থাকলেও একেক  নদীর একেক নামে পরিচিত। কিছু নদী সম্পর্কে বলা হলো। বুড়িগঙ্গা নদী হল বাংলাদেশের অন্যতম একটি নদী যার দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এটি ঢাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অনেকেই বুড়িগঙ্গা নদী তীরে বসবাস করে তাদের জীবন পরিচালনা করছেন।  আবার ধলেশ্বরী মূলত ময়মনসিংহ এবং ঢাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছেন, যার দৈর্ঘ্য হল ১৬০ কিলোমিটার।  পদ্মা হলো বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় একটি নদী। যা ভারতে গঙ্গা নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম একটি নদী। যার দৈর্ঘ্য ৩৭৪ কিলোমিটার। এবং এটি রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, এবং ফরিদপুর জেলা , দিয়ে প্রবাহিত হয়। আবার কর্ণফুলী নদী অন্যতম বৃহত্তম একটি নদী। কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটিত হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর দৈর্ঘ্য হলো ১৮০ কিলোমিটার। এবং এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম বা চট্টগ্রাম দিয়ে প্রবাহিত হয়। আবার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী ময়মনসিংহ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর দৈর্ঘ্য ২৭৬ কিলোমিটার। অপর দিকে তিস্তা  হলো অন্যতম একটি জনপ্রিয় নদী। তিস্তা নদী রংপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক মানুষ তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য হল ১১৫ কিলোমিটার।