Home বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি কিভাবে ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়াবেন? | ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর উপায়

Thumb

কিভাবে ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়াবেন? | ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর উপায়

জরুরি কাজের সময় ওয়াই-ফাইয়ের গতি কম হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবহাকারীর। শুধুই কি জরুরি কাজ, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো ভিডিও–ও দেখা যায় না। বেশ কিছু বিষয় আছে যার উপর ওয়াই-ফাইয়ের গতি নির্ভর করে। কিছু কৌশল ব্যবহার করে চাইলেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়িয়ে নেওয়া যায়। ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর সাত উপায় নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।

ইন্টারনেট সংযোগ পরীক্ষা করুন

ওয়াই-ফাইয়ের গতি নিয়ে অভিযোগ করার আগে প্রথমেই আপনার বাসা বা অফিসে থাকা ইন্টারনেট সংযোগ এবং রাউটারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে নিতে হবে। ইন্টারনেটের গতি ঠিক থাকলে রাউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট কেবল যুক্ত করে সরাসরি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

রাউটারের ফার্মওয়্যার হালনাগাদ

রাউটারের ফার্মওয়্যার ও নিরাপত্তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। রাউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন্টারফেস থেকে সহজেই ফার্মওয়্যার হালনাগাদ করা যায়। তবে অনেক পুরনো মডেলের রাউটার হলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ফার্মওয়্যার ফাইল নামিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন্টারফেসে আপলোড করতে হবে।

রাউটার রাখতে হবে সঠিক জায়গায়

আরো পড়ুনঃ শরীরের যে ৮টি স্থানে স্মার্টফোন রাখলে ক্ষতি হয়।

দ্রুতগতির ওয়াই-ফাইয়ের জন্য রাউটারের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি পুরো ঘরে সমান গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান, তাহলে অবশ্যই রাউটার ঘরের মাঝামাঝি স্থানে রাখতে হবে। এতে রাউটার সব দিকে সমানভাবে ওয়াই-ফাই সিগন্যাল দিবে। এবং রাউটারের আশপাশে যত কম দেয়াল থাকবে, ততই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বেশি পাওয়া যাবে। খুব কাছাকাছি দূরত্বে ভারী ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও ওয়াই-ফাইয়ের গতি অনেকটা কমে যেতে পারে। রাউটারের অ্যানটেনা উল্লম্বভাবে রাখলে ওয়াই-ফাইয়ের গতি বেশি পাওয়া যায়।

রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি সম্পর্কে জানা

নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইন্টারফেসে দেখে নিন আপনার রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি কত। সাধারণত ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের রাউটার বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে ডুয়েল ব্যান্ডের রাউটারে ৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া যায়। ফলে ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়াতে প্রয়োজনে ডুয়েল ব্যান্ডের রাউটার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ওয়াই-ফাই এর গতি অনেক বেড়ে যেতে পারে।

চ্যানেল পরিবর্তন

ইন্টারনেট গতির ক্ষেত্রে ইন্টারফারেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্য ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক থেকে আসা সিগন্যালের পাশাপাশি বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রের কারণেও ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। আর সেজন্যই ভালো মানের রাউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম ঘনত্ব থাকা চ্যানেল নির্বাচন করে সিগন্যাল গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু পুরোনো মডেলের বা কম দামি রাউটার নির্দিষ্ট চ্যানেল ব্যবহার করে। ফলে ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যায়। সমস্যা সমাধানে রাউটারে কম ঘনত্বের চ্যানেল ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমান

আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক যদি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে বা পাসওয়ার্ড দুর্বল থাকে, তাহলে আপনার অজান্তেই অনেকে তা ব্যবহার করায় ইন্টারনেটের গতি অনেক কমে যায়। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ওয়াচার ব্যবহার করে খুব সহজেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা জানা যায়। তাছাড়া রাউটারের অ্যাডমিন ইন্টারফেসে দেখে নিতে পারবেন কোন ডিভাইসটি বেশি ডেটা ব্যবহার করছে। আপনি চাইলে সেই ডিভাইস আপনার নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়েও দিতে পারেন। আবার পরবর্তীতে চাইলে যেকোন ব্যক্তিকে আপনার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্তও করতে পারেন।